বাংলাদেশের নতুন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই দুই খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নকে সামনে রেখে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে।
শিক্ষা খাতে এবারের বাজেটে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব স্তরে গুণগত মান উন্নয়নই প্রধান লক্ষ্য। এর অন্তর্ভুক্ত কিছু প্রধান দিক হলো:
স্বাস্থ্যখাতেও এবারের বাজেটে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের দিকে নজর রাখা হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো:
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে এই বর্ধিত বরাদ্দ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা একটি দক্ষ ও উৎপাদনশীল জাতি গঠনে সহায়তা করবে, আর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নাগরিকদের কর্মক্ষমতা ও গড় আয়ু বৃদ্ধি করবে। এটি দারিদ্র্য বিমোচন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও সহায়ক হবে।
যদিও এই বাজেট উচ্চাকাঙ্ক্ষী, এর সফল বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা, দুর্নীতি রোধ করা এবং প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত, বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী মনিটরিং ও ইভালুয়েশন সিস্টেম গড়ে তোলা। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
ভবিষ্যতে, এই বাজেট শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে একটি টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করবে, যা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৳৪৯৯
৳৫৯৯
৳৬৯৯
৳৭৯৯